গ্রামীণফোনের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ অর্জন

গ্রামীণফোনের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ অর্জন

১২ ডিসেম্বর ২০২১

দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম উন্নয়নে এবং তরুণদের দক্ষতা বিকাশে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ‘প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে’ সম্মানজনক জাতীয় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ অর্জন করে গ্রামীণফোন অ্যাকসেলেরেটর। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে টেক সার্ভিস লিডার এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোনকে এই পুরস্কার প্রদান করেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মাধ্যমে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

দেশের প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত রাখতে এবং একটি স্ব-টেকসই এবং জ্ঞান-ভিত্তিক অর্থনীতির আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনের সম্ভাবনা উন্মোচন করার জন্য আমাদের ডিজিটালাইজেশনকে কাজে লাগাতে হবে এবং আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডকে কাজে লাগাতে হবে। 2015 সালে ঘোষিত গ্রামীণফোন এক্সিলারেটর হল একটি সহযোগিতামূলক প্রোগ্রাম যা নতুন স্টার্টআপগুলিকে সফল করতে এবং জাতীয় প্রবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক লভ্যাংশ তৈরি করতে সাহায্য করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এই ছয় মাসের প্রোগ্রামটি কর্মশালা, লক্ষ্য নির্ধারণ, ব্যবসায়িক বিল্ডিং সহায়তা, পরামর্শদাতা, বিনিয়োগকারীদের সংযোগ এবং আরও অনেক কিছুর মাধ্যমে স্টার্টআপগুলির সমাধানের পরিসরকে প্রসারিত করে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “প্রতিশ্রুত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার আইসিটি বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে এবং প্রযুক্তির প্রচার ও প্রসারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে আসছে। এ চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সঠিক উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করা একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ। বিজয়ী উদ্যোগগুলো আমাদের দেশকে ব্যবসাসহ অন্যান্য প্রধান খাতগুলোয় ভবিষ্যতের প্রযুক্তিগত বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার’র এর সকল বিজয়ীদের আমি অভিনন্দন জানাই। সমাজের প্রতি আপনাদের অবদানগুলো আমাদের অনুপ্রাণিত করবে।”

একটি উন্নত আগামী বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে তরুণদের আপস্কিলিং করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতিদানের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান। তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রায় আমাদের অবদানকে স্বীকৃতি জানানোর জন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এ পুরস্কার পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি। সমাজের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং জাতির ক্ষমতায়নে কথা পুনর্ব্যক্ত করে আমি বলতে চাই, গ্রামীণফোন তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করাতে বিশ্বাস করে। ফিউচার নেশন ও জিপি অ্যাকসেলেরেটরের মতো পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে তরুণদের আপস্কিল ও রিস্কিল করে ডেমোগ্রাফিক ডিভেডেন্ডের সম্ভাবনাকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে পরিণত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগ উন্মোচনে বিশ্বাস করে গ্রামীণফোন। ডিজিটালাইজেশনের এ যুগে সামনে এগিয়ে আসা এবং অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তনের অংশ হওয়া গুরুত্বপূর্ণ। এবং এ ধরনের স্বীকৃতি বাংলাদেশের ক্ষমতায়নে একসঙ্গে আমাদের তরুণদের ভবিষ্যৎ উপযোগী দক্ষতায় প্রস্তুত করে তুলতে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার যাত্রায় এগিয়ে যেতে আমাদের গভীরভাবে উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করবে।”

grameenphone